বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে চলমান আলোচনা। সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং ছাত্রদের বিক্ষোভের কারণে শোনা যাচ্ছে যে, আগামী দু'দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হতে পারে। তবে কি দুই দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ? তাহলে কে হচ্ছেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি অপসারণ করা উচিত এবং নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবে তা রাজনৈতিক দল ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন যে, তাঁরা ফ্যাসিবিরোধী মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য চেষ্টা করছেন এবং এর জন্য তাঁদের মাঝে একটি সামষ্টিক পরিকল্পনা রয়েছে।
22 অক্টোবর রাত 11:30 টার দিকে বঙ্গ ভবনের সামনে অবস্থান কালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, আগামী দুদিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করা হবে। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বুধ বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের অপসারণ করব। সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নতুন রাষ্ট্রপতির সম্ভাবনা
- ডক্টর মহম্মদ ইউনূসের নাম নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আলোচনায় এসেছে। তাঁর পূর্ববর্তী রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ভূমিকার জন্য তাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
- প্রধান উপদেষ্টা অফিসের সূত্রে জানা গেছে যে, ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি হলে সংবিধান সংস্কারের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতে পারে।
23 অক্টোবর দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আইন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যে বক্তব্য করেছে তাতে সরকার একমত পোষণ করেছে কিনা বা পরবর্তী ধাপ হিসেবে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা বলতে পারি যে কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেই সাথে আইনগত বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
0 coment rios:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন