শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও ছাত্রজনতার আন্দোলন রাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনটি মূলত ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে, যা গণতন্ত্রের প্রসার ও সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগ ও এর সমর্থকদের গতিবিধি এবং প্রতিবাদসমূহের কথা উল্লেখ রয়েছে। শেখ হাসিনার দেশত্যাগ:
৫ আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দলটির জন্য একটি বড় আঘাত। এরপর থেকে দলের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ১৫ অক্টোবর, কিছু আইনজীবী শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে স্লোগান দিয়ে দলের পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন, যা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সাহস জোগাতে পারে। শেখ হাসিনা দেশে না থাকায় দলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। আদালতে স্লোগান দেওয়া আইনজীবীদের উপস্থিতি আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একটি সংকেত হলেও, তা কতটুকু কার্যকর হবে সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ:
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের বেশ কয়েকজন সমর্থক মানববন্ধনে চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এর ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে পনেরোই আগস্ট ও সাত মাস বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা।
শেখ রাসেলের জন্মদিন:
শেখ রাসেলের ৬১তম জন্মদিন পালন করা হলেও, এটি রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে দলের ভিতরে ও বাইরে কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি দলের আনুগত্য প্রকাশ পাচ্ছে। দোয়া মাহফিল ও গরীব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণও কেক কেটে দেশের কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের 61 তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। ধানমণ্ডি 32 নম্বরের সামনে ও শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাত নেতা কর্মী কম। তবে, এই অনুষ্ঠানের রাজনৈতিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, এটি দলের সমর্থকদের মধ্যে আবেগের জন্ম দেয়, কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে এর প্রভাব সীমিত।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ:
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিক্ষোভ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে। চট্টগ্রামে বিক্ষোভের ঘটনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার জামালখান এলাকায় মধ্যরাতে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ।
গ্রেপ্তার আতঙ্ক:
দলের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে চলে গেছেন, যা দলের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বলেছেন, বিএনপির ওপর যা কিছু হয়েছিল, বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তা ঘটছে। এটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের রাজনীতির দিকে ইঙ্গিত করে। এটি একটি সংকটময় রাজনৈতিক মুহূর্তের চিত্র, যেখানে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক অবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এরপর দীর্ঘ আড়াই মাস দলটির নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি মন্ত্রীদের প্রায় সবাই চলে গেছেন। আত্মগোপনে অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিন কাটছে অনেক নেতা কর্মীর গেছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির উপর যা যা হয়েছিল এখন আওয়ামী লীগের উপর তাই ঘটছে সে। মাহমুদা বীথি প্রতিদিনের বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জটিলতা ও উত্তেজনা তুলে ধরে। রাজনৈতিক সংকট, সমর্থকদের অস্থিরতা, এবং তরুণ সমাজের প্রতিবাদ ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক গতিশীলতা প্রভাবিত করবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেখানে দলগুলোর মধ্যে শক্তি-সামর্থ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
0 coment rios:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন