বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

60+63 বয়সে মুখে বলার শক্তি দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতো না হলেও মেধা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে নিজেকে ভেঙেছেন। গড়েছেন নতুন এক মানুষ রূপে ভাঙা গড়ার পথে বয়স বাধা নয়, তাও প্রমাণ করেছেন আত্মবিশ্বাস আর অধ্যাবসায় ভর করে সব বাধা যে উতরে যাওয়া যায় তার প্রমাণ দিয়েছেন আবেদ সিরাজ। শারীরিক প্রতিবন্ধী ৬৪ বছর বয়সী ইচ্ছাশক্তিতে আবেদ সিরাজের সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়েছেন।

আবেদ সিরাজের সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্প শুরু

আবেদ সিরাজের জীবন শুরু হয়েছিল কঠিন পরিস্থিতিতে। বাকপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও, তিনি ছোটবেলা থেকেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় ছিলেন। মানুষের সঙ্গে মনের ভাব প্রকাশ করতে অনেক কষ্ট করতে হতো তাকে। তার এই সমস্যা সমাজের দৃষ্টিতে তাকে অনেক বাধার সম্মুখীন করেছে। কিন্তু তিনি সবসময় ভেবেছেন, এই সমস্যা তার প্রতিভা ও মেধাকে থামাতে পারবে না।

প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ

১৯৯০-এর দশকে দেশের মধ্যে কম্পিউটারের প্রসারের সময়, আবেদ সিরাজ একটি আত্মীয়ের সাহায্যে কম্পিউটার শেখা শুরু করেন। প্রথমদিকে ডেটা এন্ট্রির কাজ করে তিনি প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হন এবং অল্প সময়ে নিজেকে সেই ক্ষেত্রে দক্ষ করে তোলেন। বয়স ৬০ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও, তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রশিক্ষণ নেন, যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এবং আবেদ সিরাজের সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্প শুরু হয়

অধ্যাবসায় ও আত্মবিশ্বাস

আবেদ সিরাজের মধ্যে যে অধ্যাবসায় ছিল, তা তার ফ্রিল্যান্সার সফলতার মূল চাবিকাঠি। তিনি নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতেন, এমনকি অফিসের সময়ের বাইরে থেকেও। তার শৃঙ্খলা ও প্রচেষ্টার ফলে তিনি দ্রুত গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হয়ে ওঠেন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করেন।


পরিবার ও আর্থিক উন্নতি

তিনটি সন্তানের বাবা হয়ে তিনি তাদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করেন। তার আর্থিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের ভাগ্যও বদলে যায়। তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, বরং আরও কয়েকজন যুবককে ফ্রিল্যান্সার শিখেছেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলেন। আবেদ সিরাজ একজন উদাহরণ, যিনি দেখিয়েছেন যে সত্যিকারের সংকল্প ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনের প্রতিটি বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।

সামাজিক প্রভাব

আবেদ সিরাজের গল্প আজকের যুবকদের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। তিনি তাদেরকে দেখিয়েছেন যে বয়স বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা নয়। তার অধ্যবসায় এবং সাহসিকতার মাধ্যমে তিনি সমাজে একটি পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।



অনুপ্রেরণা

এখনও নতুন নতুন বিষয় শিখে প্রতিনিয়ত নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন 68 বছরের আবেদ সিরাজ। স্বপ্ন দেখছেন নতুন সম্ভাবনার এক আধুনিক বাংলাদেশ প্রশিক্ষক সন্তান বন্ধুবান্ধবের কাছে হার না মানার আদর্শ মডেল তিনি। আবেদ সিরাজের জীবন আমাদেরকে শেখায় যে "Better late than never" সত্যি অর্থেই কার্যকরী। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, যদি আপনার মনে কিছু করার ইচ্ছা থাকে এবং আপনি কাজ করতে প্রস্তুত থাকেন, তবে আপনি যে কোনো বয়সে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।

আবেদ সিরাজের গল্প শুধুমাত্র একটি ব্যক্তি হিসেবে নয়, বরং একটি আন্দোলন হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের সকলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সংকল্প জাগ্রত করে।


বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ     শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে চলমান আলোচনা। সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং ছাত্রদের  বিক্ষোভের কারণে শোনা যাচ্ছে যে, আগামী দু'দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হতে পারে। তবে কি দুই দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ? তাহলে কে হচ্ছেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন। 

বর্তমান রাষ্ট্রপতি অপসারণ করা উচিত এবং নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবে তা রাজনৈতিক দল ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন যে, তাঁরা ফ্যাসিবিরোধী মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য চেষ্টা করছেন এবং এর জন্য তাঁদের মাঝে একটি সামষ্টিক পরিকল্পনা রয়েছে। 

22 অক্টোবর রাত 11:30 টার দিকে বঙ্গ ভবনের সামনে অবস্থান কালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, আগামী দুদিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করা হবে। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বুধ বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের অপসারণ করব। সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

নতুন রাষ্ট্রপতির সম্ভাবনা

  • ডক্টর মহম্মদ ইউনূসের নাম নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আলোচনায় এসেছে। তাঁর পূর্ববর্তী রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ভূমিকার জন্য তাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
  • প্রধান উপদেষ্টা অফিসের সূত্রে জানা গেছে যে, ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি হলে সংবিধান সংস্কারের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতে পারে।
23 অক্টোবর দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আইন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যে বক্তব্য করেছে তাতে সরকার একমত পোষণ করেছে কিনা বা পরবর্তী ধাপ হিসেবে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা বলতে পারি যে কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেই সাথে আইনগত বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।


বর্তমানে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান দেশের বাইরে রয়েছেন। আগামী 25 অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের অপসারণের বিষয়টি সেনাপ্রধান আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কিনা এ ব্যাপারেও কিছু জানা যায়নি। তবে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস না অন্য কেউ কে হতে পারেন। পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নাকি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের থাকছেন রাষ্ট্রপতি তা সময়ই বলে দেবে।