যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের তুলনায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান শক্তিশালী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সবশেষ জরিপে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মূল বিষয়গুলো:
সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফল: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প হ্যারিসের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। বিশেষ করে পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা এবং জর্জিয়ায় তাঁর ডোনাল্ড ট্রাম্প অবস্থান ভালো।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য: ৯৩ টি ইলেকটোরাল ভোট থাকা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে উভয় প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে নেভাদায় তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা চলছে।
অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি: জরিপে দেখা গেছে, ৬২% ভোটার ট্রাম্পকে এবং ৩৮% ভোটার হ্যারিসকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভরসা রাখছেন। তবে হ্যারিসের অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ট্রাম্পের জন্য সুবিধাজনক।
ভোটারদের সমর্থন: ট্রাম্প অভিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন হারাচ্ছেন, যা কমলার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ অন্যান্য মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা হ্যারিসকে সমর্থন দিচ্ছেন।
আগাম ভোট: নির্বাচনের ১০ দিন আগে আগাম ভোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে তিন কোটির বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন, যা ২০২০ সালের তুলনায় কিছুটা কম।
আলোচনা:
এই নির্বাচনের ফলে মার্কিন রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মূলত অভিবাসী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং সাধারণ ভোটারদের সমর্থনের ওপর। সঠিক অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং কার্যকর প্রচারণা উভয় পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য অবস্থা জটিল হলেও ট্রাম্পের জন্য এই পরিস্থিতি কিছুটা সুবিধাজনক মনে হচ্ছে।
কমলা হ্যারিসকে এখন আরও কার্যকরভাবে ভোটারদের মধ্যে বিশ্বাস ও সমর্থন অর্জন করতে হবে, বিশেষ করে অভিবাসী এবং কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কাছ থেকে। নির্বাচনী প্রচারণার এই সময়টাতে কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে তিনি ভোটারদের কাছে আরও শক্তিশালীভাবে পৌঁছাতে পারবেন।